উত্তরা থেকে মঞ্জুর মোল্লা
মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত ও কাতার রুটে শ্রমিকদের জন্য রেয়াতি ভাড়া চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এই ছয় দেশে কেবল প্রথমবার যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সুবিধা মিলবে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি বলেছে, রেমিটেন্স যোদ্ধারা একমুখী যাত্রার এই সুবিধা পাবেন চলতি বছরজুড়ে।
এর আগে মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের জন্য এই সুবিধার মেয়াদ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঠিক করা হয়েছিল। তবে বিমান বাংলাদেশ এখন বলছে, এই দুই দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেয়াতি ভাড়া সুবিধা মিলবে।
ওয়ার্কার ফেয়ার নামের এ উদ্যোগের আওতায় ঢাকা থেকে সৌদি আরবের ভিত্তি ভাড়া (ট্যাক্স বাদে) ধরা হয়েছে ৩৬০ মার্কিন ডলার। আর মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ১৫০ ডলার। আর ঢাকার বাইরে থেকে কুয়ালালামপুরের ভিত্তি ভাড়া হবে ১৭৫ ডলার। সাধারণভাবে ট্রাভেল এজেন্টদের কাছে এখন ঢাকা থেকে সৌদি আরবের টিকেট কিনতে বর্তমানে ৪০০ থেকে ৪৮০ ডলার ভাড়া গুনতে হয়। আর মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে খরচ পড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ ডলার। বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর জানান, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরব রুটে এই সুবিধা চালুর সময় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) কার্ড বা বিএমইটি’র সত্যায়নের বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে এখন সেটি সহজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে যাচ্ছে, সেটি প্রমাণ করতে পারলেই এখন এই সুবিধা মিলবে। বিএমইটি সত্যায়নের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আগের মতোই ওমরাহ ভিসা, ফ্যামিলি ভিজিট বা রেসিডেন্স ভিসাধারী যাত্রীরা এই বিশেষ ভাড়া সুবিধা পাবেন না।
নতুন চার রুটের ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রওশন বলেন, আরবিডি ‘টি’ লেয়ারের ভাড়া ধরা হবে। অর্থাৎ, সর্বনিম্ন যে ভাড়া, সে হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। তবে এক ফ্লাইটে একসঙ্গে সবাইকে এ সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে না। হয়তো একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনের জন্য প্রবাসী শ্রমিকরা এই সুবিধা পাবেন। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এই সুবিধা মিলবে। কেউ যদি একটি ফ্লাইটে এই সুবিধা না পান, সেক্ষেত্রে পরের ফ্লাইটে তিনি এ সুবিধা নিতে পারবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
